বর্ষার পানিতে পূর্ণ হয়ে গেছে লালমনিরহাটের খাল-বিল, নদী-নালাগুলো। লালমনিরহাটের শিশু কিশোরেরা আনন্দে মেতে ওঠে বর্ষার নতুন পানিতে। বেলা হলেই এসব জলাধারের স্বচ্ছ পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে গ্রামের দুরন্ত শিশু-কিশোরেরা। বড়রাও যেন ফিরে যেতে চান সেই ফেলে আসা শৈশবের দুরন্তপনায়। উঁচু স্থান থেকে শিশুদের মতো লাফঝাঁপে কিছুক্ষণের জন্য তাঁরাও ফিরে গিয়েছিলেন মধুর শৈশবে। একটু প্রশান্তির জন্য সাওরিখানা খালের স্বচ্ছ পানিতে দলবেঁধে গোসল করতে নেমেছে শিশু-কিশোররা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, লালমিরহাট জেলার প্রতিটি উপজেলায় বিভিন্ন নদী-নালার উঁচু ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়ে পানিতে পড়ার অপরূপ দৃশ্য। তেমনই লালমনিরহাট সদর উপজেলার সাওরীখানা ব্রিজ থেকে ১০-১২ বছর বসয়ী এক ঝাঁক কিশোর মনের সুখে নদীর পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছে। তারা যেন নদীর বুকে নিজেদের হারিয়ে ফেলেছে।
একই রকমের দৃশ্য দেখা গেলো, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের রত্নাই ব্রিজ এলাকায় এক ঝাঁক কিশোর মনের আনন্দে ব্রিজে উঠছে নদীর পানিতে ঝাঁপ দিতে। তাদের মাঝে বিরাজ করছে কি যেন এক অনুভূতি। নদীর পানিতে থাকা সকল প্রাণীর সাথে যেন তাদের একটা স্বক্ষতা গড়ে উঠেছে। ভয় আর ভীতির কোন বালাই নেই তাদের কাছে। দীর্ঘ সময় ধরে পানিতে তাদের ঝাঁপাঝাঁপিতে শরীর ফ্যাকশা হয়ে গেছে, দু‘চোখ লাল হয়ে উঠেছে। তবুও তাদের কোনো ক্লান্তি নেই। মনের সুখে ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিচ্ছে আর নদীতে গা ভাসিয়ে সাঁতার কাটছে।
কথা হয় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কোদালখাতা এলাকার আলমের সাথে সে বলেন, প্রতিদিন দুপুর ১২টা বাজলে আমরা গ্রামের সব বন্ধুরা এই ব্রিজে আসি। আর মনের সুখে গোসল করি। ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে নদীতে গোসল করতে খুব ভাল লাগে।